আশিকুর রহমান মাহফুজ: সীমান্ত হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবীতে হানিফ বাংলাদেশী নেতৃত্বে প্রতীকী লাশের মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কর্মসূচি ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে আগামী ১০ দিন ব্যাপী চলমান থাকবে।
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী –সকাল ১০ টায় চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি রামগড় সীমান্ত হয়ে ফেনী ছাগলনাইয়া এসে শেষ হয়।
এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচী যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য মতে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করে এবং ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে মর্টারসেলের আগাতে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্ম মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশীদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দূর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেয়নি, নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবেনা। বাংলাদেশের মানুষ আর্ত মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচ্ছু করে বাঁচতে চায়।