নামাজে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব। তাই মুক্তাদির তাশাহুদ শেষ হওয়ার আগেই ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুক্তাদি তাশাহুদ শেষ করেই দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে মুক্তাদি তাশাহুদ পূর্ণ না করে দাঁড়িয়ে গেলে মাকরুহে তাহরিমি হবে।
আর দরুদ-দোয়া পড়া যেহেতু সুন্নত তাই শেষ বৈঠকে মুক্তাদি দরুদ-দোয়া শেষ করার আগে ইমাম সালাম ফিরিয়ে নিলে মুক্তাদি দরুদ-দোয়া পূর্ণ করবে না। বরং ইমামের অনুসরণে তার সঙ্গেই সালাম ফিরিয়ে নেবে।
নামাজ হলো মহান আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সাক্ষাৎ। হাদিসে এসেছে, ‘মুমিন যখন নামাজে থাকে সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে নিভৃতে কথা বলে।’ (সহিহ বুখারি: ৪১৩) তাই নামাজে তাড়াহুড়া করা সমীচীন নয়। আবশ্যক হলো- কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত পন্থায় নামাজ আদায় করা।
রুকুশেষে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, দুই সেজদার মাঝখানে স্থির হয়ে বসা এবং তাশাহুদ, দোয়া-দরুদ ইত্যাদি ধীরস্থিরতার সঙ্গে আদায় করা কর্তব্য। অতএব, ইমাম সাহেবদের উচিত এমন গতিতে তাশাহুদ ও দরুদ-দোয়া পড়া যেন মুসল্লিরাও ভালোভাবে তা শেষ করতে পারে। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১৫৯; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/৯৬; রদ্দুল মুহতার: ১/৪৭০; মারাকিল ফালাহ পৃ-১৬৯)