দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের বাজার সুরক্ষিত করতে অবৈধ পথে আসা কোন মুঠোফোন যেন সচল না থাকে, এমন নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মুঠোফোন উৎপাদনকারী ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দিতে হবে। তাই অবৈধ পথে আসা ফোন যাতে বিক্রি হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিবন্ধনহীন যেসব ফোনসেট ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে কোন আপস নেই এবং খুব দ্রুতই যেন এ নির্দেশনা কার্যকর করা যায়।
দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত ও বৈধ পথে আমদানিকৃত মোবাইল ফোনসেটের ডাটাবেজ এবং স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের সব ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে উল্লেখ করে নিবন্ধনহীন সব মোবাইল ফোনসেট বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এ সময় জানানো হয়, মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকের মালিকানা নিশ্চিতকরণ, নকল ও নিম্নমানের হ্যান্ডসেট উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণ রোধ, মোবাইল ফোনের চুরি ও অপব্যবহার বন্ধ এবং মোবাইল ফোন শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিটিআরসিতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিষ্ট্রেশন (এনইআইআর) সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী পাঁচ বছরে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরিতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ও বিনিয়োগ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনাও দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে রপ্তানি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় একটি সাধারন প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান দেশকে বিভিন্নভাবে লাভবান করতে পারে। আইডেন্টিটি ভেরিভিকেশন অ্যান্ড অথেন্টিকেশন সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ সেবাকে আরও সহজলভ্য করতে প্রতিটি ডাটাবেজকে একটির সঙ্গে আরেকটিকে ইন্টারঅপারেবল করা দরকার।