চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দেশটি আমাদের কলিজার অংশ তাই দেশকে আমাদের ভালোবাসতেই হবে। জাতিকে কিছু দেয়ার অঙ্গীকার করে এগিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসক সমাজ চাইলে দেশকে পাল্টে দিতে পারবে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন চট্টগ্রাম থেকেই ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু হয়েছিল। এদেশের মানুষকে ভালোবেসে দায়ীরা বাংলাদেশে এসেছিলেন শায়িত হয়েছেনও এই দেশে। আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তারা মরে না। শহীদরা আল্লাহ তায়ালার মেহমান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় চিকিৎসক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান।
সমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খাইরুল আনোয়ার। সমাবেশে দারসুল কুরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. শফিউল আলম ভুইঁয়া।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা যে পরিবেশ দান করেছেন সেখানে যদি আমরা মেধার পূর্ণ বিনিয়োগ না করি তাহলে আল্লাহর কাছে গুনাহগার হতে হবে। শুধু চিকিৎসা খাতই নয় পুরো দেশের প্রতিটি সেক্টরেই সমস্যা কবলিত। চিকিৎসকদের ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিবেদিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গরিব ধনী সকল স্তরের মানুষের সাথে চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন। দ্বীনের প্রচারের জন্য তারা সুযোগ পান বেশি। সংগঠনের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
মোহাম্মদ ইউছুফ/এমএ