বুধবার, মে ১৪, ২০২৫
spot_img

দড়িচর খাজুরিয়ার মাদ্রাসা ওই ইউনিয়নের মধ্যেই স্থাপনের দাবি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ‘দড়িচর খাজুরিয়া নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা’ নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে, যার ফলে মাদ্রাসাটি অন্য ইউনিয়নে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে  মাদ্রাসাটি একই ইউনিয়নের মধ্যেই স্থাপনের দাবি মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর। 

আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় গাজীর হাট বাজার থেকে একটি মিছিল নিয়ে উক্ত মাদ্রাসার মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী উক্ত মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন‌।

মাদ্রাসার ফাযিল ৩য় বর্ষের ছাত্র মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “এই মাদ্রাসাটি দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের গর্ব এবং ৭২ বছরের প্রাচীন একটি প্রতিষ্ঠান। এই ইউনিয়নের মানুষজন ধান, চাল, চাঁদা, টাকা-পয়সা ও শারীরিক শ্রম দিয়ে তিলে তিলে এই মাদ্রাসাটি গড়ে তুলেছেন। নদী ভাঙনে মাদ্রাসাটি এখন হুমকির মধ্যে পড়েছে। তাই এই এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মাদ্রাসাটি পশ্চিমের চরে আমাদের ইউনিয়নের ভূখণ্ডেই স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।”

ছবি: দড়িচর খাজুরিয়া নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা।

মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মো. আরিফ হোসেন বলেন, “দড়িচর খাজুরিয়া নেছারিয়া ফাযিল মাদ্রাসা বরিশাল জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে আমরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। এছাড়াও গত ৭২ বছরে এটি অসংখ্য গুণীজন তৈরি করেছে, যারা দেশে ও বিদেশে ছড়িয়ে আছেন। এই ইউনিয়নের মানুষের কষ্ট, ঘাম ও অর্থে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমের চরে নির্মাণের জায়গা থাকা সত্ত্বেও অন্য কোথাও নির্মাণ করলে এখানের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। সুতরাং, মানুষ গড়ার এই কারখানাটি কোনোভাবেই দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের বাইরে নিতে দেওয়া হবে না।”

অভিভাবক মো. নাগর আলী সিকদার বলেন, “নদী ভাঙনে শিকার মাদ্রাসাটি অন্য ইউনিয়নে নেওয়া হলে  এই ইউনিয়নের ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবেন না। তাই মাদ্রাসাটি অন্য কোথাও না নিয়ে আমাদের দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমের চরে স্থাপন করলে এই ইউনিয়ন এবং পাশের ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরাও নির্বিঘ্নে পড়তে পারবেন। হবি কাজীর বাড়ি সংলগ্ন আহমদ হাওলাদারের দানকৃত ৫ গন্ডা জমিতে মাদ্রাসাটি স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজন হলে আমরা এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ থেকে আরও জমির ব্যবস্থা করব কিন্তু এই ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠান অন্য ইউনিয়নে নিতে দেওয়া হবে‌ না।”

/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর