নিজস্ব প্রতিবেদক: মহেশখালী-কুতুবদিয়া শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন ‘নিউ জেনারেশন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক আয়োজিত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৈরী আবহাওয়া ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার কারণে দ্বীপাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় ভালো রেজাল্ট করে এবং তাদের স্ট্রাগল করার মানসিকতা তৈরি হয় বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্তব্য করেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) এর নির্বাচিত সাংসদ নেতা আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ছোট মহেশখালী ঠাকুরতলা আদিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের এই দ্বীপাঞ্চল আজ থেকে ১০ বছর আগেও শিক্ষার পশ্চাৎপদতা এবং শিক্ষার প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা ছিল। কিন্তু আজকে দেখেন প্রতিটি ঘরে ঘরে লবনের মাঠ, পানের বরজ, ফিশিং বোট, মাছের প্রজেক্ট ও ভরপুর কর্ম ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানরা পড়াশোনা করতেছে। আশির দশকে নারী শিক্ষা অনগ্রসর ছিল কিন্তু এখন তারা ছেলেদের থেকেও কাজের ক্ষেত্রে, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বিশ্বায়নের এ যুগে আপনি অর্ধেক নারী ঘরে বসায় রাখলে সেই দেশটা কিভাবে এগিয়ে যাবে? এখানে যারা আগামী প্রজন্মের মেধাবীমুখগুলো বসে আছে তারা পড়াশোনা শেষ করে বের হবে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, সেই কর্মসংস্থান কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করে দিচ্ছেন। আমাদের মহেশখালী কুতুবদিয়ার সন্তানরা যেকোনো প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় ভালো করে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক গাইডলাইন দরকার।
এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা কিংবা ভাষাভিত্তিক শিক্ষা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি জমায় তাহলে দশজনের তুলনায় বেশি বেতনভাতা পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০০ বছরের স্বপ্ন দেখেন, ডেল্টাপ্লানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামনে উপবিষ্ট মেধাবী প্রজন্মগুলো হাতে পূরণ হবে। একসময় ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ ও ভিক্ষাবৃত্তির দেশ বলা হতো সেখানে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে উদাহরণ হিসেবে দেখতেছে। বরং এই কক্সবাজার বর্তমান অর্থনৈতিক গেটওয়ে হিসেবে কাজ করতেছে।
প্রসঙ্গত, মহেশখালী-কুতুবদিয়া থেকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশলী ও মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত ৮৪ জনের মতো শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নিউ জেনারেশন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতি বছর এ আয়োজন করে থাকেন।