নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নিখোঁজের তিনদিন পর ডিএনডি খাল থেকে মো: মহাসিন(৩৯) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পকেটে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ জুন) সকালে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে সিঅ্যাই খোলা মোড়ে ডিএনডি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ নিহত মহাসিন সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিংয়ে ৫ নাম্বার রোডের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ি মজিবুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রী ও ১৩ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তারের বড় ভাই মাইনুদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শেষ বারের মতো মহাসিনের সাথে কথা হয় শিরিনা আক্তারের। তখন মহাসিন বলে সে চিটাগাংরোড ফলপট্টিতে আছে।
বাসায় আসতে দেরি হবে, এরমধ্যে শিরিনা ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টায় ঘুম ভেঙ্গে গেলে সে দেখে মহাসিন ঘরে আসেনি, পরে মহাসিনের মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ও খোঁজ নেয়া হয়। শনিবার সকালে পুলিশ জানায় মহাসিনের লাশ পাওয়া গেছে। মহাসিনের পকেটে একটি পুরনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল।
মাইনুদ্দিন আরও জানান, মহসিনের বড় দুই ভাই ইতালি প্রবাসি, মহসিন নিজেও ইতালি যাওয়ার জন্য বড় ভাইদের মাধ্যমে চেষ্টা করছিলেন, এর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছেন এবং কাগজপত্র জমাও দিয়েছেন।
পাশাপাশি বৃদ্ধ বাবার ভাঙ্গারি ব্যবসাও দেখাশুনা করতেন তিনি, ঈদের পর মহাসিনের ইতালীতে যাওয়ার কথা ছিল, কাগজপত্র সব ঠিক করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, লাশের সুরতহাল করে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরনের প্যান্টের পকেট থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। সেই লাইসেন্স দেখে পরিচয় জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের পর তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী এসে শনাক্ত করলে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাসান আহমেদ প্রান্ত/এমএ