নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ের শিক্ষিকা মোসা. সুরাতুন জান্নাতের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ ব্যবহার করে ২২ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তার স্বামী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যিনি একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্ত্রীকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে সহায়তা করেছেন।
জানা যায়, ২০০১ সালে সুরাতুন জান্নাত গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি দাবি করেন, তার সনদটি বগুড়ার ধুনটের জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নট্রামস) থেকে প্রাপ্ত। তবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ধুনটে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই এবং অনলাইনে তার সনদের রোল নাম্বার যাচাই করার চেষ্টা করলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৪ মে এই ভুয়া সনদ নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সনদটি ভুয়া হওয়ার পরও জান্নাত প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার স্বামী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এই অভিযোগকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তবে বিদ্যালয়ের সচেতন মহল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মো: এ কে নোমান/এস আই আর