কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে।
গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা যুবদলের সদস্য আবু তাহের মেছবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন “মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ মামলায়, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল, আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ ও মোমিনুর রহমান মুমিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহিদুন্নবী সাগর, রাকিবুজ্জামান রাকিব, আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুর রহমান টিটুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসামিরা হামলা করেন। তারা হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে অনেক আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুরুতর জখম করেন। এ ছাড়াও মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ ও প্রাণনাশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই দিন কুড়িগ্রাম শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার জমায়েত চেষ্টাকালে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন। শহরের শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যলয়ের সামনে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র হাতে জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে শহরের দাদারমোড়ে জড়ো হন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। প্রায় সারাদিন ধরে আন্দোলনকারীরা ও আওয়ামী লীগের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের ৩০-৩৫ জন আহত হয়। পরে আওয়ামী লীগ পিছু হটতে বাধ্য হয়।
মোবারক হাসান নাহিদ/এস আই আর
