রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
spot_img

স্প্রে মেরে সাংবাদিক সত্যজিৎ এর সর্বস্ব লোট

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা গ্রামের বাবুর বাড়ির সুখ্যাত মৌবন মিষ্টি ঘরের স্বত্তাধিকারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমরজিৎ দাস নেপাল গত রবিবার ২৮ এপ্রিল দুপুর পৌনে তিনটার দিকে কটারকোনা বাজারের একটি সেলুনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকা ও ডেইলি সিলেট নিউজ ২৪ এর সংবাদ প্রতিনিধি সত্যজিৎ দাস এর জন্মদাতা পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমরজিৎ দাস নেপাল গত রবিবার (২৮শে এপ্রিল) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে কটারকোনা বাজারের একটি সেলুনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দীর্ঘ ৬ বছর ঘর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়া সত্যজিৎ দাস ও তার মা-বোনকে নিয়ে চুনারুঘাট বাসা থেকে কটারকোনা বাজারের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ২৮ এপ্রিল রোজ রবিবার সন্ধ্যা ০৭ টা নাগাদ কটারকোন বাবুর বাড়িতে পৌঁছান। এরপর হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী ঐদিন রাতেই প্রয়াত নেপাল দাসের ভাই অসিত বরণ দাস ও গ্রামের কয়েকজন হিন্দু মুসলিমদের উপস্থিতিতে অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন সাংবাদিক সত্যজিৎ।

সত্যজিৎ দাস রবিবার (৫ই মে) জানান,” গত ২৯ এপ্রিল রোজ সোমবার রাতে আমি ও আমার মা-বোন ক্লান্ত শরীরে ঘুমোতে যাই। ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা আমার মা ও বোনের তিনটি মোবাইলসহ প্রায় ৭০,০০০/- টাকা, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, প্রয়াত নেপাল দাসের ও দুটি মোবাইল নিয়ে যায়।

সত্যজিৎ দাস আরও বলেন; “ঐদিন ভোর রাত ৪.৪০ মিনিটের দিকে আমি প্রস্রাব করার জন্য তড়িগড়ি করে বিছানা থেকে নামতে গিয়ে খেয়াল করি, আমার বালিশের পাশে ব্যবহৃত স্মার্ট মোবাইল ফোনটি নেই। এ সময় আমি আমার বোনকে ডাক দিয়ে জাগ্রত করি। বোন সুবর্ণা ঘুম থেকে উঠে দেখে,তার ব্যবহৃত মোবাইলসহ ভ্যানিটি ব্যাগ ও তার সদ্য বিধবা হওয়া মায়ের মোবাইল ফোনটিও নেই। তারপর আমি পুরো গ্রাম হেঁটে গ্রাম পঞ্চায়েত সহ গ্রামের মায়-মুরব্বিদের জানাই”।

সত্যজিৎ দাস আরো জানান,পঞ্চায়েত সর্দার মোঃ আব্দুল হাইকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত করার পরে তিনি বলেন, “আমার ঘর থেকেও একই ভাবে মোবাইল টাকা-পয়সা চুরি হয়েছে। এমনকি গ্রামে ১০/১২টি এরকম চুরির ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ থানায় জিডি করেছেন, আবার অনেকেই থানায় না গিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন”। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী সত্যজিৎ দাস কুলাউড়া থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডি নং-১৪৩৮ তারিখ ৩০/০৪/২০২৪।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী ঘটনা সম্পর্কে শুনে বলেন, সাংবাদিক সত্যজিৎ তার মোবাইল ফোন চুরির জিডি করেছেন। কিন্তু তার মা ও বোনের সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় তাদের মোবাইল চুরির জিডি করতে পারেননি। তিনি থানায় এসে মা-বোনের মোবাইল ও টাকা-পয়সা চুরির জিডি করলে, আমরা কুলাউড়া থানা পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য যে, সাংবাদিক সত্যজিৎ দাসের VIVO 11PRO (1804), বোনের OPPO A78, মায়ের ZELTA মোবাইল ফোন এবং ৭০,০০০/- টাকা সহ সত্যজিতের বোন ব্র্যাক চুনারুঘাট শাখার প্রগতি (সিও) সুবর্ণা’র অফিসিয়াল কাগজপত্র সহ আইডি কার্ড নিয়ে যায়।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর