ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে গত বুধবার চার শতাধিক বন্দী সৈন্য বিনিময় হয়েছে। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম একসঙ্গে এত বেশিসংখ্যক বন্দী বিনিময় হলো।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার বন্দী বিনিময় হয়েছে। তবে গত বছরের মাঝামাঝিতে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ই এ বিষয়ে বিবৃতি দেয়। সেখানে দুই পক্ষই জানিয়েছে যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর উভয় পক্ষই দুই শতাধিক করে সৈন্য ফিরে পেয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে দুই শতাধিক সেনা ও বেসামরিক মানুষ দেশে ফিরেছে।
গত পাঁচ মাসে কোনো পক্ষই বন্দী বিনিময়ের কোনো ঘোষণা দেয়নি। কিয়েভ বারবারই বলে এসেছে যে মস্কো রাজনৈতিক কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি কার্যকরে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরে জেলেনস্কি এক বার্তায় বলেন, বন্দী বিনিময় দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে। কিন্তু আলোচনায় কোনো বিরতি নেই।
স্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ১৪৮ জন সেনা ফিরে এসেছে। তাঁদের শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বলছে, এই চুক্তি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার ‘গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন’।
তবে কোনো পক্ষই তাদের হাতে কত বন্দী আছে, তা প্রকাশ করেনি।
জনতার বার্তা/ এস এইচ