বিতর্কিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিচ্ছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ডিবির কাছে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই তথ্য দেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে থাকা অনাথ শিশু বৃদ্ধ প্যারালাইসড ব্যক্তিদের থাকা খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আমাদের কাছে গতকাল এসেছিলেন। আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছি।
রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আশ্রয় দিতে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলেন মিল্টন সমাদ্দার। প্রায় এক দশক ধরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে আশ্রয়কেন্দ্রটিতে অসহায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আশ্রয়, চিকিৎসা সেবা ও মৃত্যুর পর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি মানবসেবার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে মিল্টনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের পর গত ১ মে রাতে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এরপর থেকেই নানামুখী সংকটে পড়ে আশ্রয়কেন্দ্রটি। সেখানে থাকা আশ্রিতদের কী হবে তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে সেখানে থাকা শিশু-বৃদ্ধদের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে বলেছি তারা যেন মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে থাকা অনাথ শিশু বৃদ্ধ এবং প্যারালাইড ব্যক্তিদের থাকা-খাওয়া ওষুধ চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারা আমাদের আহ্বানে সম্মত হয়েছেন। সেখানে নিয়মিত একজন ডাক্তার রাখবেন এবং সেই ডাক্তার অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেবেন। শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধর আমাদের এও জানিয়েছেন যা খরচ হবে তা তিনি ফাউন্ডেশন থেকে ব্যয় বহন করবেন।
আশ্রমে থাকা শিশু, বৃদ্ধ ও প্যারালাইজড ব্যক্তিদের আপাতত সেখানেই রাখা হবে এবং পরবর্তীতে কী করা যায় সেটা পরে চিন্তা করা হবে বলেও ডিবি প্রধান হারুন জানান।