বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
spot_img

গুরুদাসপুরে বিদেশী জাতের কুল চাষ, বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মোঃ সোহাগ আরেফিন, গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুরে বিদেশী জাতের কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ভাল ফলন হওয়ায় ও বিক্রিতে বেশি দাম পাওয়ায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। কুলচাষীরা বাগানে গাছ পরিচর্যা ও বাজারজাত করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে অনেকের বেকারত্ব জীবনে ফিরেছে কর্মসংস্থান।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ৪৭ হেক্টর জমিতে বিদেশী জাতের কুল চাষেরে আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি। বাগানের সংখ্যা ৪৩টি। এমন ফল দেখতে যেমন লোভনীয় খেতে সুমিষ্ট। লাভজনক আবাদ হওয়ায় উৎসাহী হয়ে প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন কুল আবাদ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলা জুড়ে খন্ড খন্ড ভাবে গড়ে উঠেছে বিদেশী জাতের ৪১টি কুল বাগান। তবে নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর, গোপীনাথপুর, বেরগঙ্গারামপুর, হামলাইকুল সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশি দেখা যাচ্ছে এমন কুল বাগান। প্রতিটি বাগানে থোকায় থোকায় ধরেছে বিদেশী জাতের ভারত সুন্দরী, কাশমেরী, আপেল কুল ও নারকেল কুল বড়ই। কুলের ভারে নুইয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা, আকার ও রংয়ের ভিন্নতায় অপরুপ রুপে সেজেছে এসব বাগান। এমন বাগান দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হামলাইকুল গ্রামের কুলচাষী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বেকারত্ব জীবনে প্রথমে ছোট পরিসরে শখে এক খন্ড জমিতে বিদেশী নারকেল কুল চারা দিয়ে শুরু করি। পরবর্তীতে সাফল্য আসায় কৃষি অফিসের পরামর্শে বৃহৎ আকারে ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ভারত সুন্দরী, কাশমেরী ও নারকেল এই তিন জাতের কুল তিনটি বাগান করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৭ লাক্ষ টাকা। বাগানে কুলের ফলন ভালই হয়েছে। সাফলতা আসবে বলে এমন আশাবাদ করেন তিনি।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর