সোমবার, মে ২০, ২০২৪
spot_img

ছুটিতে ফাঁকা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝিঁমাচ্ছে রিকশাওয়ালারা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: পবিত্র শব-ই কদর, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৬ দিনের দীর্ঘ ছুটিতে গেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সাথে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ছুটির দিনে ফাঁকা ক্যাম্পাসে যাত্রীবিহীন ঝিঁমাচ্ছে ত্রিশালের ভ্যান, অটো, রিকশাওয়ালারা।

গত সোমবার (১ এপ্রিল) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিল, পরিচালক, ছাত্রপরামর্শ ও নিদের্শনা দপ্তর এবং প্রক্টর সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত ১৭ তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত- ০২ মোতাবেক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের ক্যালেন্ডারে নির্ধারিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তিতে ৫ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল, এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রারের আদেশে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ দিনের জন্য ক্লাস, পরীক্ষা, অফিস ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছুটির আমেজে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাস ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্যাম্পাস এখন জনশূন্য প্রায়। এই শূন্য ক্যাম্পাসের আশেপাশেই ঝিঁমাচ্ছে ময়মনসিংহ, ত্রিশাল এলাকার রিকশা, ভ্যান ও অটো চালকরা। সারাবছর রিক্সা-ভ্যান চালিয়েই রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা হয় তাদের। স্থানীয়দের পাশাপাশি যাত্রীদের বড় একটা অংশ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ফলে ছুটিতে জনশূণ্য ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘুরোঘুরি করলেও পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো যাত্রী, হচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত রোজগার।

সামনে আসছে ঈদ, ফাঁকা ক্যাম্পাসে যেখানে স্বাভাবিক রোজগার করতেই চরম হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ঈদের আমেজে বাড়তি খরচ সংগ্রহ করতে কতখানি দূর্দশায় পড়তে হতে পারে তা নিয়ে চিন্তিত ত্রিশালের রিকশা, ভ্যান ও অটো চালকরা।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়মিত ভ্যান চালক শাহীন মিয়া। বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করে জীবিকা নির্বাহ হয় তার। তিনি বলেন, মামা আপনারা থাকলে আমাদের টুকটাক রোজগার হয়। এখন ভার্সিটি বন্ধ, তাই আগের মতো রোজগার নাই। সারাদিনে দুই তিনশো টাকা রোজগার করতেই কষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রামিম আহমেদ বলেন, এখন বন্ধ ক্যাম্পাসে বসে ঝিঁমালেও সারাবছর এই রিকশা, ভ্যান, অটোওয়ালারাই শিক্ষার্থীদের চুষে খায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেইট থেকে ত্রিশাল বাজারের দুরত্ব মাত্র দুই কিলো। এখান থেকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ৩০ টাকা, ভ্যানে প্রতিজন ১৫ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা হিসেবে ভাড়া অনেক বেশিই বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা এত টাকা ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ত্রিশাল-বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করাটা আর্থিকভাবে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এই ভাড়া আরও কমানো উচিত। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মো. সাইফুল ইসলাম/এসএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর