নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জার্নাল দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ সাউথইস্ট এশিয়া-এ প্রকাশিত হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. বাদশা আলমের গবেষণা প্রবন্ধ। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষক ও ২ শিক্ষার্থীসহ ৬ গবেষকের সমন্বিত এই গবেষণায় প্রধান গবেষক ছিলেন তিনি।
সোমবার (৮ এপ্রিল) গবেষণা প্রবন্ধটি দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ – সাউথইস্ট এশিয়া, ভলিউম-২৫, জুন ২০২৪ এর জার্নালে প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি “Effects of disability on adverse health outcomes and anthropocentric deficits among under-five children in South Asian countries: Evidence from Multiple Indicator Cluster Survey” শিরোনামে জার্নালটিতে নিবন্ধিত হয়।
এই প্রবন্ধের প্রধান গবেষক মো. বাদশা আলম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যান্য সহ-গবেষকরা হলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব ড. নুরুজ্জামান খান ও শিমলিন জাহান খানম ও শিক্ষার্থী মো. সোহেল রানা। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির মেডিকেল এন্ড এপ্লায়েড সায়েন্সের শিক্ষক গোলাম খন্দকার ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক মো. আউয়াল কবীর সহ-গবেষক হিসেবে ছিলেন।
গবেষণাটির মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ২-৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রতিকূল স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ঘাটতির উপর প্রভাব তদন্ত করা, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী শিশুদের উপর।
প্রবন্ধের প্রধান গবেষক মো. বাদশা আলম বলেন, স্বপ্ন ছিল একদিন বিশ্বের সেরা গবেষণা জার্নালগুলোতে আমার গবেষণা প্রকাশিত হবে। অবশেষে সেই স্বপ্ন সত্যি সত্যি পূরণ হয়ে গেলো। সত্যি এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না৷ আমার কাছে প্রত্যেকটি গবেষণা আমার ভালোবাসা। ভালো লাগা, ভালোবাসা থেকে গবেষণার কাজ করে যাচ্ছি। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে যে মানুষ টার জন্য তিনি হলেন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. নুরুজ্জামান খান। তার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত গবেষণার কাজ শিখছি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভবিষ্যতে গবেষণার সাথে থেকে দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।
উল্লেখ্য, দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেল্থ – সাউথইস্ট এশিয়া বিশ্বের জনপ্রিয় এবং অন্যতম পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রভাবশালী একাডেমিক জার্নালগুলির মধ্যে একটি।
মোঃ সাইফুল ইসলাম/এস আই আর