হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্র সমাবেশ করা হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধান ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কের যানবহন চলাচল।
উক্ত ছাত্রসমাবেশে “সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই” “দাবি মোদের একটাই, কোটার সংস্কার চাই” “কোটা না মেধা? মেধা মেধা ” ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানের মাধম্যে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আজকে আমরা ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহাল করার দাবি নিয়ে একত্রিত হয়েছি। আমাদের চার দফা দাবি রয়েছে। প্রথম দাবি হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, দ্বিতীয় দাবি হলো কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করতে হবে, পরের দাবি হলো সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটার শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে এবং আমাদের শেষ দাবি হলো দুর্নীতি মুক্ত, নিরপেক্ষ, মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় একযোগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কারো দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়নি এবং তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছেন।
প্রসঙ্গত,২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের কথা বলেন।পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল
বিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷
কামরুল হাসান/এস আই আর