রাবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাসে সকল ধরণের রাজনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটানোর স্থান নির্দিষ্টকরণের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তাঁরা। স্মারকলিপিতে তাঁরা প্রশাসন কর্তৃক স্থান নির্ধারণ করে দেয়া এবং নির্ধারিত স্থানেই পোস্টার সাঁটানোর দাবিসহ চারটি দাবি জানিয়েছেন।
তাদের অন্য তিনটি দাবি হলো- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দেওয়ালসমূহে পোস্টার সাঁটানো যাবেনা। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভবনগুলোর প্রবেশমুখে পিলারগুলোতে পোস্টার সাঁটানো যেতে পারে। ২. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্যাম্পাসে যত্রতত্র লিফলেট, পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারণা চালায়, এটা সংকীর্ণ করতে হবে। ৩. এ ব্যাপারে কোনো সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া নীতিমালা ভঙ্গ করলে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানপূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার পরও কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হলে অপপ্রচারকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানপূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দেখেছি ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে ২৪শে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি শোভা পাচ্ছে যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিরোধী হিসেবে যে দলগুলো মাঠে ছিলো তারা ও গণতন্ত্রকামী জনতা দীর্ঘমেয়াদি ফললাভ করবে। কোন কোন স্পটে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটানো যাবে এবং কোথায় কোথায় যাবে না এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়া নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পোস্টার, ব্যানারের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায় তা অনেক সময় দৃষ্টিকটু দেখায়, যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করে।’
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ক্যাম্পাসের অন্য সব সংগঠনগুলো যে যে স্পষ্টে পোস্টার সাঁটিয়েছে, রাবি ছাত্রদল সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত সেরকম সাদৃশ্যমূলক জায়গায় পোস্টার সাঁটানোর পরও রাবি ছাত্রদলকে নিয়েই কেবল অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাই আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পোস্টার সাঁটানোর এমন একটা নীতিমালা প্রণয়ন করুক যাতে সকল সংগঠন সেটা মেনে কাজ করতে পারে, কোনো সংগঠন যেনো অপপ্রচারের শিকার না হয়। এটা কেবল তখনই সম্ভব যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে একটা নির্দেশনা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, ‘ছাত্রদল ব্যানার,ফেস্টুনের রাজনীতি থেকে বের হতে বদ্ধ পরিকর। প্রশাসনের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রকাশ করা হোক সেজন্যই প্রক্টর স্যারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য শেখ নূর উদ্দিন আবির, মো. আবু সাঈদ, জাকির রেদোয়ানসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদের নেতৃবৃন্দ।
মাফুজুর রহমান ইমন/এমএ