শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
spot_img

প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরেও জিমনেসিয়াম পায়নি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৮ বছর পার করলেও অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এখানে প্রায় ৮,০০০ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন পরিচালনা করছেন। তবে শিক্ষার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জিমনেসিয়াম বা ইনডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়,প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) নেই কোনো জিমনেশিয়াম। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নিচ তলায় ডাইনিং এ ক্যারাম খেলার জন্য ব্যবহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে শরীরচর্চার বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতি নেই।ক্রীড়াঙ্গনের এই বেহাল দশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সব সময় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।যারা বাইরে গিয়ে জিমে যোগ দিতে চান, তাদের জন্য নিকটবর্তী কোনো সাশ্রয়ী ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারছেন না, যার অন্যতম কারণ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাব।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইনডোর গেম ও ব্যায়ামের জন্য নেই জিমনেসিয়াম। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিকায়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ব্যর্থতা মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।বিভিন্ন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারছেন না, যার অন্যতম কারণ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক এবং ক্রীড়া সংগঠক জানিয়েছেন, শারীরিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। জিমনেসিয়ামের অভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে। এটি তাদের পড়াশোনা এবং কর্মজীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেশিয়াম থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ক্যাম্পাসে আমদের খেলাধুলার জায়গা নেই। এখন ক্যাম্পাসে একটি জিমনেশিয়ামের ব্যবস্থা থাকলে আমরা সেখানে শরীরচর্চা করতে পারতাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, “নাই নাই শব্দটা নোবিপ্রবির সাথে একাকার হয়ে গেছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম যেসব সুযোগ সুবিধা ও পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা থাকার কথা, সেগুলোর ব্যপারে একদমই উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন সবার দাবি একটি উন্নত মানের জিমনেসিয়াম। এটা শিক্ষার্থীদের নানা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কিছুটা মানসিক শক্তি যোগাবে।”

শরীর চর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক ড.মো: আমজাদ হোসেন বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক একটি জিমনেসিয়ামের জন্য ২২ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট জমা দিয়েছি সেটি পাশ হলেই জিমনেসিয়ামের কাজ শুরু হবে।”

নোবিপ্রবি উপ -উপাচার্যের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “আমরা সেন্ট্রাল ফিল্ডের পরিকল্পনায় একটি ভালো মানের জিমনেসিয়াম রেখেছি। আমরা সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে জিমনেসিয়ামের ফাইলটি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।

আবদুল্লাহ আল মামুন/এমএ

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর