রাবি প্রতিনিধি: শিবির সন্দেহে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোর্পদ করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
সোমবার(২৯ জানুয়ারি) তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। দুই শিক্ষার্থী বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ছাত্রলীগের দাবি, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন তারা শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আশিকুর রহমান এবং একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র বদরুল আলম সাইফী। তারা ইসলামী সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ’ এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন অনেক আলামত তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা এলাহি শেখের কাছে টাকার বিনিময়ে সিট পরিবর্তন করতে গিয়েছিলেন আশিকুর রহমান। এলাহির আশিকুরের উপর সন্দেহ হলে, তিনি তার ফোন বের করতে বলেন। সে ফোন বের করতে রাজি না হলে, এলাহি জোর করে তার ফোন বের করেন। এসময় সে দেখতে পান আশিকুর তাদের কথাবার্তা রেকর্ডিং করেছেন। পরে, এলাহি শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের এ বিষয়ে অবগত করেন। পরে, নেতৃবৃন্দের তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের দাবি, আশিকুর তাদের কাছে স্বীকার করেন যে, তিনি শিবিরের সদস্য এবং এ কাজ তিনি বদরুলের পরামর্শে করেছেন। পরে, বদরুলকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তার কাছেও শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এরপর, তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আশিকুর ছেলেটার মোবাইল সার্চ করলে বিভিন্ন গ্রুপে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাই। সে আমাদের কাছে স্বীকার করে, সে আরবি বিভাগের শিবিরের সাধারণ সদস্য। ওকে ঐ বিভাগের জামাতপন্থী একজন শিক্ষক দেখাশোনা করে। তাকে অন্য একজন শিখিয়ে এ কাজ করতে পাঠিয়েছিল। পরে, তার কাছেও একই ধরনের আলামত পাওয়া যায়। ছাত্রলীগকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছিল।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে হেয় করার জন্য ওদের একটা অনেক বড় পরিকল্পনা ছিল। তারা একজনকে পাঠিয়েছিল, টাকা দিয়ে সিট বানিজ্য করার জন্য। আমাদের ছেলেদের নিষেধ করা ছিল, তারা কোনভাবেই রাজী হয়নি। অভিযুক্ত বারবার জোর করলে, আমাদের ছেলেদের একটু সন্দেহ হয়। তখন ঐ ছেলের ফোন তল্লাশি করে দেখে, সে সম্পূর্ণ আলাপ ফোনে রেকর্ডিং করেছে। যে এটা করেছে, তাকে আবার আর একজন শিখিয়ে দিয়েছে। তাদের একজন শিকার করেছে যে সে শিবির। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এজন্য আমরা পুলিশে সোপর্দ করেছি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, তারা আমাদের হেফাজতে আছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। আমরা তাদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করছি।
মাফুজুর রহমান ইমন / এম এ