বুধবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
spot_img

খুলনায় পুলিশ হ’ত্যায় মামলায় আসামি ১২০০

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ অগস্ট) রাতে লবণচরা থানার এস আই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার নেই বলে জানিয়ে লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে গতকাল বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।

গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমনকে বেধড়ক মারধর করেন আন্দোলনকারীরা। আহত অবস্থায় সুমন ঘরামীকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের আরও অন্তত ৩০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।

এম এস খালিদ/এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর