বুধবার, মে ৮, ২০২৪
spot_img

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র তাপদাহে ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি

জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: এবার কিছুটা দেরিতেই মুকুল এসেছিলো। পরিমাণেও ছিলো অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে বাগানগুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। তবে কদিনের তীব্র তাপদাহে গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছেন বাগান মালিকদের। তীব্র দাবদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের গুটি ঝরে পড়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার আম বাগান মালিক এরসাদ আলী জানান, এবার মুকুল কিছুটা আসলেও ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মুকুল জলে গেছে। কৃষি বিভাগ বাগানে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিলেও ইরি-বোরো মৌসম চলার কারণে ধানে সেচ দেওয়ায় বাগানে সেচ দিচ্ছে না গভীর নলকূপের মালিকরা। আমার বাগানে যেখানে তাপ ৪-৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করার আশা ছিল। সেখানে এখন এক লাখ টাকা কীটনাশক খরচ পাবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খরার কারণে আমের গুটি বড় হচ্ছে না, বোটা শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। আকাশের পানি না হলে সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না।

শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক মোঃ ইসমাইল খান শামীম বলেন,দুই দিনের বৃষ্টিতে আমের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরেই যারা বাগানে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছে,তাদের বাগানে আমের গুটি টিকে আছে বেশি। এমনিতে অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমের উৎপাদন খুবই কম; তার উপরে তীব্র তাপদাহের কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।

আম সংগঠনের এই নেতা আরও বলেন, বিশেষ করে এবার দু’টি কারণে আমের উৎপাদন কম বলে আমি মনে করছি। সেটা হচ্ছে- জলবায়ু পরিবর্তন আরেকটি শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর এলাকায় যে সকল আমবাগান রয়েছে তারা ৫০ শতাংশ আম বাগান পরিচর্যা করেনি। যার কারণে তাদের বাগানের পোকামাকড়গুলো অন্য বাগানগুলোকে আক্রান্ত করছে। যার ফলে উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

হানিফ মেহমুদ/এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর