বুধবার, মে ২২, ২০২৪
spot_img

রুহিয়া ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ঠাকুরগাঁও: রুহিয়া ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা করোনাভাইরাস এর কারণে বদ্ধ থাকায় আবারও পাঁচ বছর পর ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রুহিয়া ডাকবাংলো মাঠে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন সমাজ সেবক ও সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, রুহিয়া থানা মহিলা লীগের সভাপতি অঞ্জলী রানী সেন।

আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই মেলা চলবে। দশ দিনব্যাপী মেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৈশাখী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল রব্বানীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আ্যডঃ অরুনাংশু দত্ত টিটু, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ঠাকুরগাঁও সদর চেয়ারম্যান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ,ঠাকুরগাঁও।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোশারুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঠাকুরগাঁও সদর ঠাকুরগাঁও। পার্থ সারথি সেন, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ।

এই সময় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন, বৈশাখী মেলায় প্রশাসনের কার্পোনতা নয় বরং এই মেলায় থাকে ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরার। তাই এই মেলায় প্রশাসনকে পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মনিরুল হক বাবু চেয়ারম্যান ও সভাপতি ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, দুলাল রব্বানী সাধারণ সম্পাদক ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, হাসিনুর রহমান সভাপতি বাংলাদেশ যুবলীগ ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন, অনিল কুমার সেন, চেয়ারম্যান ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ, অখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যান ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ, মজিবর রহমান, অধ্যক্ষ রুহিয়া ডিগ্রী কলেজ সহ রুহিয়া বৈশাখী মেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আপেল মাহমুদ, হেলাল হুসেন প্রমুখ।

এই সময় আয়োজকরা জানান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০ দিনব্যাপী লোকজ সংস্কৃতি উৎসব ও বৈশাখী মেলা ১৪৩১ আয়োজন করা হয়েছে ।

১ বৈশাখ ১৪৩১ থেকে ১০ বৈশাখ ১৪৩১ পর্যন্ত (১৪ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত) রুহিয়া ডাকবাংলো মাঠে এই মেলা চলবে। বৈশাখী মেলায় ৬০টি স্টল থাকছে। স্টলগুলোতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্য সম্ভার স্টলগুলোতে স্থান পেয়েছে।

সমগ্র আয়োজনে মোট ১৩০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। বাংলা সংস্কৃতি পরিচয়বাহী কবিগান, পটগান, গম্ভীরা, জারিগান, সঙ যাত্রা, লাঠিখেলা, সাপ খেলাসহ গ্রাম বাংলার লোকজ আঙ্গীক ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শিত হবে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সমস্ত সংগঠনের শিশুদের নিয়ে শিশুতোষ আয়োজন থাকবে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটি আমাদের বিশেষ উদ্যোগ। পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ঠাকুরগাঁও সহ ঠাকুরগাঁও জেলার বাইরের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবেন।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর