মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় সন্ধ্যায় হাঁস খোজাখুজি কে কেন্দ্র করে ছোট ভাই বউয়ের মারপিটে বড় ভাবি গুরুতর আহত।
(২৬ মে) রবিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের ছুট-খড়িবাড়ি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বড় ভাইয়ের বউ মিনতি রানীর পালিত হাঁস ছোট ভাইয়ের বাড়ির ঘরে ঢুকলে বড় ভাবি অনেক খোজাখুজি করার পরেও হাঁস না পাওয়া ছোট ভাইয়ের বাসায় খোজতে গেলে ছোট ভাই সন্তোষ ও তার বউ বড় ভাবিকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে।বর্তমান আহত বড় ভাবি মিনতি রানী ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসধীন।
আহত মিনতি রানী বলেন, আমার পালিত হাঁস দেবর সন্তোষের বাড়িতে গেলে তার বউ আমার হাঁসকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকে রাখে। আমি অনেক খোজাখুজির পর হাঁস না পাইলে তাদের বাসায় গিয়ে হাঁস রাখা ঘরে দেখতে গেলে পিছন থেকে আমাকে ববিতা রানী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও আমাকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে দেবর সন্তোষ ও তার বউ ববিতা রানী শুধু তাই নয় এর আগে আমার একটা হাঁস তাদের বাসায় আসলে তার ইচ্ছাকৃত ভাবে আটকিয়ে রেখে খেয়ে ফেলে তারা। ঠিক আজো এমনি করতে চেয়ে ছিলো তারা কিন্তু আমি তাদের বাসায় কেন হাঁস খোজতে আসলাম তার জন্য এই ভাবে মারপিট করল। এর বিচার চাই আমি।
বড় ভাই প্রদীপ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমার ছোট ভাই সন্তোষ ও আমার কাকা ফুলকুমার এর সাথে কিছু দিন ধরে পারিবারিক দন্দ চলে আমার কাকা যখন আমার সাথে কিছুতেই লড়িয়ে উঠতে পারে ঠিক তখন আমার ছোট ভাইয়ের বউকে লেলিয়ে দিছে আমার বউকে মারার জন্য। আর সেটাই হলো আজ। আমি যখন বাসায় ছিলাম না ঠিক তখনি আমার বউকে মারপিট করে গুরুতর আহত করলো এর বিচার চাই আমি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ববিতা রানীর কাছে জানতে চাইলে মারপিট কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না কাজে গেছলাম আর কাজ থেকে বাসায় আসলে হাঁস খোজাখুজির নামে অনেক গালাগালি করতেছিল ভাবী ববিতা রানী। আমি আমার হাঁস থাকা ঘরে তার হাঁস আসছে কিনা দেখতে গেলে দেখি আমাদের হাঁস গুলোর সাথে তার হাঁস ও ঢুকে গেছে আর আমি সেটা বের করে দি। কিন্তু বড় ভাবি অনেক বোকাবকি করতে করতে আমার বাসায় পযর্ন্ত চলে আসলে একটু ধাক্কাধাক্কি হয় আর কিছু না। অন্য দিকে ছোট ভাই সন্তোষ বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না আসে দেখি যে তারা ঝগড়াঝাটি করতেছে আমি কিছুই বলিনি।
কাকা ফুলকুমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় বোউ মা বেশি বকাবকি করে কারোই সাথেই মিলতেছে না এতো খারাপ সে।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রদীপ চন্দ্র বর্মন ছোট ভাই সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের মাধ্যমে ঝগড়াঝাটি বিষয়টি জানতে পারি।সন্তোষ আজকে আমার দেখা করতে চেয়েছিল কিন্তু এখনো আসেনি আর আসলে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।