রবিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
spot_img

ইবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠন

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে দেশব্যাপী সম্মিলিত গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিড়ম্বনামুক্ত রাখতে বিভিন্ন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।

শুক্রবার (৩ মে) পরীক্ষা চলাকালীন সকাল থেকে সরজমিনে দেখা যায় শৃঙ্খলা রক্ষা ও দিক নির্দেশনার কাজে রয়েছে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট। ইবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জয়বাংলা বাইক সার্ভিস, সুপেয় পানি ব্যবস্থা, অভিভাবক কর্ণার, প্রতিবন্ধীদের জন্য লজিস্টিক সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সার্ভিস দিতে দেখা যায়।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বিভিন্ন জেলা কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে অভিভাবক কর্ণার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়।

হেল্প ডেস্কের সুবিধা পেয়ে বেশ খুশি অভিভাবকরাও। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা অনেকটাই কমেছে বলে জানান কয়েকজন অভিভাবক।

রাজশাহী থেকে আসা একজন অভিভাবক জানান, আমার মেয়ের সিট পড়েছে অনুষদ ভবনে। কিন্তু আমরা বা আমার মেয়ে কেউ এই ভবন চিনি না। পরে আমি একটি সংগঠনের হেল্প ডেস্কে জিজ্ঞেস করলে তারা আমাকে পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

ছাত্র মজলিসের দায়িত্বরত শিহাব জানায়, শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে ফোন, ঘড়ি, ব্যাগ সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র রাখার মতো নিরাপদ স্থান থাকেনা। তাদের এইসব জিনিসপত্র আমানত হিসেবে আমাদের কাছে রেখে তারা নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পেরেছে এবং তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের জন্যও একটা কর্ণারের ব্যবস্থা করেছি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী না হয় সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডি সচেতন রয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে।

এদিকে ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের তথ্য মতে ‘বি’ ইউনিটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল সাত হাজার ২৪৬জন। উপস্থিত ছিলেন ছয় হাজার ৭৮১ জন। হিসেব অনুযায়ী মোট ভর্তিচ্ছুর ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে ভর্তিচ্ছুরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালীন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর