বাকৃবি প্রতিনিধি: দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় দুর্যোগ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজনের সাথে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে বাকৃবির এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের আয়োজনে এবং কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে “বাংলাদেশে কৃষি স্থিতিস্থাপকতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও গবেষণার ভূমিকা: একীভূত দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা” শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বাকৃবির এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, স্মার্ট এগ্রিকালচারের পরিচালক ড. মো. সহিদুজ্জামান সহ কৃষি অনুষদের একাধিক শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদুল ইসলাম এবং মূল আলোচক ছিলেন বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, দেশের বিশাল জনসংখ্যার খাদ্যাভাব দূরীকরণের অবদান মূলত কৃষক ও কৃষিবিদদের। তবুও আবাদি জমি কমে যাওয়া, সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব, মৃত্তিকার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃষিখাতের অন্যতম বাধা। এ সমস্যাগুলো উত্তরণে কৃষি গবেষণার প্রসার ঘটাতে হবে, বাজেট প্রণয়ন ও তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
আসিফ ইকবাল/এমএ