জাবি সংবাদদাতা: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশাল মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই আহত কেন, ইউনূস সরকার জবাব চাই’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে তাই’, ‘এই লড়াই বাঁচার লড়াই, এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোমা ডুমরির সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ জেনিচ বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী এই ধরনের পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না। সুতরাং বলতে চাই, যে সন্ত্রাসী সংগঠন যেটি আদিবাসীদের জন্য হুমকিস্বরূপ, সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, “আজকে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা ভাবছি সেই বাংলাদেশে আজকের ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। সারা বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা নাই বললেই চলে। আমরা কি ভাবতে পেরেছিলাম ছাত্রলীগের হামলার ধরনের মতো করে আজ হামলা হবে?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, “আজকে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের যারা হামলা চালিয়েছে, এভাবে অতীতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আমি সন্ত্রাসী বলতে চাই। ইন্ডিজেনাস শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই, এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই এই হামলাকারীদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সমাপনী বক্তব্যে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সিলছি মৃ বলেন, “সবসময় আমাদের উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলা হয়। আমরা কি কখনোই আমাদের আদিবাসী স্বীকৃতি পাবো না? আজকে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামধারী উগ্র সংগঠন যেভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ১১ জন আদিবাসী ভাই-বোনদের আহত করেছে, আমরা ইউনুস সরকারের কাছে এই হামলার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
মোঃ আরিফ হোসেন/এমএ