ক্যাম্পাস প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। শোকবার্তায় উপাচার্য মরহুমের পরলোকগত আত্মার শান্তি কামনা করেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে আবেগঘন এক পোস্টে তিনি বলেন, মৃত্যুর করতলে আমরা সবাই ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছি, একটু আগে বা পরে। কার কখন ডাক পড়ে, কেউ কি জানি? জিয়া চলে গেল! সে কি জানতো? তার খুব ইচ্ছে ছিল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় -এ আসবার। সুযোগ হয়-হয়; হচ্ছিল না। অপরাধবোধ হচ্ছে। ময়মনসিংহে তার শ্বশুরবাড়ি। কথা বলার আগে ঠাট্টা করে আমার সঙ্গে বলতো: “মনে করুইন যে–“। এটা নাকি বৃহত্তর ময়মনসিংহের কোড ল্যাংগুয়েজ। আমি হাসতাম। এখন এই ঠাট্টা কে করবে?
মো. জিয়াউর রহমান তার পোশাকি নাম। টকশো-তে সে আওয়ামী লীগের পক্ষে তখন খুবই সরব। এই নাম নিয়ে শিক্ষক লাউঞ্জের চায়ের কাপে বন্ধুদের একটু হাসাহাসি চলে। নামটা সংক্ষেপ করে নিল সেখানেই। স্মার্ট নেম! এখন দেশের মানুষ তাকে “জিয়া রহমান” বলেই চেনেন।
জিয়া যখন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ডাকা অবস্থান ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে গিয়েছিলাম সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে। আমরা কয়েকজন তরুণ শিক্ষক তখন উঠেছিলাম তার শিক্ষক আবাসনে। এরপর জিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এলে শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে বা টেবিলে একসাথেই ছিলাম। তার সঙ্গে শেষকথা হয়েছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি-পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে। দেখা হয়নি অনেকদিন। আর দেখা হবে না। কথাও না। কিন্তু মো. জিয়াউর রহমান থেকে জিয়া রহমান হওয়া মানুষটিকে ভোলা কি যাবে? উদার, অসাম্প্রদায়িক, বন্ধুবৎসল মানুষটির পরলোকগত আত্মা পরম শান্তিতে থাকুক।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ২৩ মার্চ ২০২৪ শনিবার ভোরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
মো. সাইফুল ইসলাম, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়/এমএ