ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে শুরু করেছিলেন আলিস ইসলাম। বিপিএল গতকাল রাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তার সবশেষ শিকার ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাঝে ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি ও বেন কাটিংকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন এই মিস্ট্রি স্পিনার।
সব মিলিয়ে নিজের বৈচিত্র্যময় বোলিং দিয়ে সিলেটের বিপক্ষে নিয়েছেন চার উইকেট। আলিসের জাদুকরী বোলিংয়ের কবলে পড়ে ৭৮ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট। তাতেই ৫২ রানের জয় পেয়েছে কুমিল্লা। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন আলিস।
আলিসের এমন বোলিংয়ে মুগ্ধ কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এই মিস্ট্রি স্পিনারকে বাংলাদেশ ক্রিকেটর সম্পদ বলে মনে করছেন তিনি, ‘আমাদের মিস্ট্রি বোলারের সংখ্যা খুবই কম। আলিস অনেক আগে থেকেই শুরু করেছিল। অবৈধ অ্যাকশনের কারণে মাঝে বাদ পড়ে। এজন্য চার বছর ক্রিকেট থেকে দূরে ছিল।’
‘আমার একটা সুবিধা ছিল। অনুশীলনের সময় আলিসকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। ওর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। ওর বলে অনেক বৈচিত্র আছে। এমন বোলার আমাদের দরকার। যেহেতু আমরা মিস্ট্রি বোলার পাচ্ছি না, এমন বোলার পেলে লাভ হবে। সে এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দেশের অনেক বড় সম্পদ হতে পারবে।’
সুনিল নারিন দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত আলিসকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে চান কুমিল্লার কোচ, ‘আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করছে নারিনের ওপর। সে এখনও আসেনি। বর্তমানে আমাদের যে বোলিং লাইন আছে আমার মনে হয়েছে একজন মিস্ট্রি স্পিনার দরকার। যে আসলে খেলা নিয়ন্ত্রণ করবে বা উইকেট নেবে। নারিন আসলে তো আমরা আরও শক্তিশালী হব।’