শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
spot_img

দুর্ভোগ বেড়েছে বগুড়ার জনজীবনে, জেঁকে বসেছে শীত বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

সূর্যের দেখা না পাওয়া আর উত্তরের বাতাসে বাড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ। দুর্ভোগ বেড়েছে বগুড়ার জনজীবনে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীত অব্যাহত রয়েছে। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমে গেছে দিনের তাপমাত্রা। সঙ্গে উত্তরের হীমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় যমুনার চরাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে স্থানীয়রা। একই সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগ।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বগুড়ায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বগুড়ায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

এদিকে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘনকুয়াশা আর হীমশীতল বাতাসের কারণে কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। আয় রোজগার কমে গেছে ইজিবাইক আর অটোরিকশা চালকদের। ঘন কুয়াশা আর হীমশীতল বাতাসের কারণে কনকনে শীতে কাজ করতে পারছেন না দিনমজুর ও ক্ষেতমজুর। কাজ করতে গিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় মাঠেঘাটে টিকতে পারছেন না এসব ক্ষেতমজুর।
শিবগঞ্জ উপজেলা রাঙ্গামটিয়া গ্রামের ভ্যানচালক আবদুর রশিদ (৪৫) বলেন, যখন থেকে কুয়াশার সঙ্গে বাতাস আর শীত নামছে তখন থেকে কাজকাম কমে গেছে। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট করছি। হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতের জন্য ভ্যান চালানো যাচ্ছে না।
উপজেলার পালিকান্দা গ্রামের দিনমজুর সমশের মোল্লা বলেন, পরিবারের অভাবের তাগিদে শীতের মধ্যেও ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে ঠান্ডায় এক ঘণ্টাও সেখানে টিকে থাকা যাচ্ছে না। ঠান্ডায় হাত-পাসহ শরীর অবশ হয়ে আসছে। এজন্য কাজ করা যাচ্ছে না বলে রোজগারও হচ্ছে না। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, জেলায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকবে।
- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর