গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: বিএনপি’র এক কর্মীর পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাসহ ৯জনকে কুপিয়ে যখমের ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ২৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আব্দুল হামিদ প্রামাণিক (৬২)।
মামলার পর রাতেই রায়হান নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত আটটার দিকে জানাযা শেষে ফেরার পর মধ্যমপাড়ার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন বিএনপি নেতা এমদাদ সমর্থিতরা। এসময় যুবলীগ নেতা আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছুর, জাহাঙ্গীরসহ ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা এমদাদ, ছাত্রদল নেতা শাকিল, মিলন প্রামাণিক, সাব্বির হোসেন, জনি পারভেজ, শামীম রহমান ও সাইফুল ইসলামসহ ৯জনকে কুপিয়ে যখম করেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গুরুতর আহত শাকিল ও জনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে রোববার শহরে বিক্ষোভ করেছে
বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে শনিবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা আলমগীরের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে একটি ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন আসামি পক্ষ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মকলেছ মৃধা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ
সম্পাদক মো. আলমগীর বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মৃধাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা ও হামলাকারীরা চাঁচকৈড় মধ্যপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
আহত সাইফুল ইসলামের চাচা মামলার বাদি আব্দুল হামিদ বলেন, খলিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিএনপির কর্মী রাকিব চাল বিক্রির ৩ হাজার টাকা পেতেন রেষ্টুরেন্ট মালিক চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আলমগীরের কাছ থেকে। টাকা তুলতে আলমগীরের প্রতিবেশি বিএনপি নেতা এমদাদের সরণাপন্ন হন রাকিব। বুধবার রাতে বিএনপি নেতা এমদাদকে সঙ্গে নিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে আলমগীরের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন এমদাদ ও রাকিব হোসেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছেন আলমগীর। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, কুপিয়ে যখমের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মো. সোহাগ আরেফিন/এমএ