নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক ও দাতব্য সংস্থা ভলিন্টিয়ারি সার্ভিস ওভারসীজ (ভিএসও বাংলাদেশ) এর ২০২৪ সালের ন্যাশনাল বেস্ট ভলিন্টিয়ার এওয়ার্ড পেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমন আচার্য্য। দীর্ঘ আট বছর ধরে নিজের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “তারুণ্যের আহবানে”র মাধ্যমে মানবিক কাজ করে আসছেন তিনি।
সুমন আচার্য্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে বাছাই করা ২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে “ন্যাশনাল বেস্ট ভলিন্টিয়ার” হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি। ভিএসও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিরুল হাসান কামাল সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এন্ড্রে কারস্টেন, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক এলেনা জে ট্যান্সি, ইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মার্টিনেস ব্যাকস্ট্রোম, ইউএনএফপিএর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসাকি ওয়াটাবে, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন রোলান্ড ফরবেস এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (GAIN)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার।
২০১৭ সালে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বন্ধুদের নিয়ে “তারুণ্যের আহবানে” সংগঠনটি গড়ে তোলেন সুমন। শুরুতে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে এটি কিশোরগঞ্জ জেলার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের টেকসই শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে।
সুমনের এই অর্জন মানবসেবায় তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি প্রেরণা হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে সুমন বলেন, “আমি সবসময় নিজেকে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসি। আমার কাছে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মূল প্রাপ্তি আত্মতৃপ্তি। কাজের স্বীকৃতি পেতে সবারই ভালো লাগে। আজকের এই পুরস্কার আমার আট বছরের স্বেচ্ছাসেবী জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যারা আমাকে প্রতিনিয়ত সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কার আপনাদের।”
মো. সাইফুল ইসলাম/এমএ