রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি পৃথক মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গত ৪ জানুয়ারি নগরীর মির্জাপুর এলাকা থেকে রবিউল ইসলাম নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা পুলিশ। এর আগে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি রবিউল ইসলাম রবি নামের আরেক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে পাঁচ গ্রাম হেরোইন ও ১৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ। তারা দুজনেই এখন কারাগারে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিউল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। তার বাড়ি নগরীর বিনোদপুর এলাকায়। তার পিতার নাম মো. আক্তার হোসেন। অন্যদিকে রবিউল ইসলাম রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে একজন পিয়ন হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি মির্জাপুর এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে।
এদিকে রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তারের ৮ দিন পার হলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ। তিনি জানান, ‘সে কিছুদিন যাবৎ অনুপস্থিত। তবে তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, সে অসুস্থ। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেব।’ তবে রবিউল ইসলামের সহকর্মীরা জানান, তিনি আগে থেকেই মাদকসেবী ছিলেন। এছাড়া তিনি এর আগে একবার চাকরি থেকে বহিষ্কারও হয়েছিলেন।
অন্যদিকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অবগত রয়েছে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ। এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানি না। যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ পাই তাহলে তার বিষয়ে আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করবো।’
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ফারসি বিভাগের একজন সহকারী রেজিস্ট্রারকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। নির্বাচনের আগে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে চিকিৎসাকেন্দ্রের পিয়নকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা অবগত নই।
মাফুজুর রহমান ইমন