সোমবার, মে ২০, ২০২৪
spot_img

রাবিতে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) আসন কমানোর সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ক্যাম্পাসের একাধিক ছাত্রসংগঠন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য সজীব আলী প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১৬৮টি, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৯০টি আসন কমানোর পর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও ৪০ টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে টানা ৩ বছরে সর্বমোট ২৯৮ টি আসন কমতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন সমূহ।

ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্না, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বাবলু চাকমা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলী বিবৃতিতে বলেন, ‘আসন কমানোর ফলে উচ্চ শিক্ষার সংকোচন ঘটছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরতা ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, আসন কমানোর অজুহাত হিসেবে প্রশাসন ক্লাসরুম গবেষণাগার, আবাসন প্রভৃতি শিক্ষা উপকরণের সংকটকে দেখিয়ে থাকে। এসব সমস্যার সমাধান কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়িয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলেই সম্ভব। অথচ বরাদ্দ বাড়াতে রাষ্ট্র ও সরকারের অনুগত প্রশাসনের কোন উচ্চবাচ্য নেই। উপরন্তু ১৮ জুলাই ২০২৩ সালে প্রকাশিত ১১২ কোটি ৯৭ লাভ টাকার অডিট গড়মিল শিক্ষার উন্নয়নে তাদের অনিয়ম ও দায়হীনতাকেই উন্মোচিত করছে।’

বক্তারা আসন কমানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইউজিসির কৌশলপত্র সবার বিশ্ববিদ্যালয়কে কেবল ধনীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রূপরেখা। যার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমাগত শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, খাবারে ভর্তুকি বন্ধ করা, আসন কমানো, বাণিজ্যিক সন্ধ্যাকালীন কোর্স চালু সহ নানান গণবিরোধী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এতে উচ্চশিক্ষা অর্জন আর্থিকভাবে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ফলে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই নীলনকশার সর্বপ্রকার বাস্তবায়নের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াতে হবে।

সর্বশেষ বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি হুশিয়ারি জানিয়ে অবিলম্বে সিট কমানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। নতুবা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তারা।

এস আই আর

- Advertisement -spot_img

রাজনীতি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আবেদন করতে ব্যানারে ক্লিক করুন...spot_img

সর্বশেষ সব খবর